“মানুষকে একটি খনি হিসাবে মনে করো যা অমূল্য রত্নসমূহ দ্বারা সমৃদ্ধ, শিক্ষা একাই সেই রত্নভাণ্ডার প্রকাশ করতে পারে এবং মানব জাতিকে তার থেকে উপকার লাভ করতে সক্ষম করে।”

বাহাউল্লাহ

মানব সম্প্রদায়ের উৎকর্ষতায় একটি দৃঢ় প্রত্যয় রেখে, বাহাইরা বিশ্বাস করেন যে, সমাজের উন্নতিসাধনে ব্যক্তির মধ্যে থাকা অর্ন্তনিহিত সামর্থ্য এবং গুণাবলীর নিয়মবদ্ধ এবং দীর্ঘ সময় ধরে লালন করার প্রয়োজন হয়। শিক্ষা একটি প্রক্রিয়া যা সকল ব্যক্তির সেই বিশাল সম্ভাবনাগুলিকে সমাজের উন্নতিতে কাজে লাগাতে হবে। প্রকৃত সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে, শিক্ষাকে অবশ্যই মানব অস্তিত্বের আধ্যাত্মিক এবং জাগতিক বিস্তারসমূহে শক্তি নিয়োগ করতে হবে।

সমাজ নির্মান কার্যক্রমগুলির কেন্দ্রে যেখানে বাহাইরা দায়বদ্ধ সেগুলি হোলো শিক্ষাগত কর্মসূচীসমূহ, যা সকলের মঙ্গলের জন্য সারাজীবনব্যাপী কাজ এবং ব্যক্তির আধ্যাত্মিক এবং মেধাগত যোগ্যতা নির্মানের লক্ষ্যবস্তু।

শিশুরা
শিশুদের আধ্যাত্মিক শিক্ষার ক্লাসগুলি বিভিন্ন পরিমণ্ডলে অনুষ্ঠিত হয় যা আধ্যাত্মিক গুণাবলী, এবং বিশ্বাসগুলি, অভ্যাসগুলি এবং চরিত্রের গঠণাবলী-র উন্নয়নের দৃষ্টিগ্রাহ্য করে এবং একজনকে আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে।

তরুন কিশোর-কিশোরী
দেশব্যাপী তরুন কিশোর-কিশোরী একটি কর্মসূচীতে গ্রুপ হিসেবে যোগদান করে, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের আধ্যাত্মিক বোধশক্তি এবং একটি নৈতিক কাঠামো তৈরিতে সাহায্য করে। তারা তাদের অভিব্যক্তির ক্ষমতা তৈরি করে এবং নিজেদের প্রচুর জীবনীশক্তি তাদের সমাজের কাজে বইয়ে দেয়।

যুবা এবং প্রাপ্তবয়স্কগণ
বিকেন্দ্রীভূত শিক্ষাগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারা দেশে গ্রামের এবং শহরের প্রতিবেশী অঞ্চলসমূহের যুবা এবং প্রাপ্তবয়স্করা মেধাগত, নৈতিক, আধ্যাত্মিক এবং ব্যবহারিক ক্ষমতাগুলি তাদের সমাজের কাজে লাগানোর জন্য তৈরি করছে।