“ এই পবিত্র মহাপ্রকাশসমূহ পৃথিবীতে বসন্তঋতু আসবার মতো...কারণ প্রতিটি বসন্ত একটি নতুন সৃষ্টির সময়...”



আবদুল-বাহা

বাহাই ধর্ম ঈশ্বর কর্তৃক দায়িত্বভার দেওয়া দু’জন বার্তাবাহকের উদ্দেশ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো – বাব এবং বাহাউল্লাহ। আজকে, ধর্মের বৈশিষ্ঠ্যসূচক একতায় তাঁরা সুস্পষ্ট নির্দেশাবলী থেকে উৎসমূল স্থাপন করেছিলেন যা বাহাউল্লাহ দিয়েছিলেন যা নিয়ত পথ-নির্দেশিকায় নিশ্চিত করেছে তাঁর চলে যাওয়ার পরেও। উত্তরাধিকার বিন্যাসটি ইচ্ছাপত্র হিসেবে উল্লিখিত, যা বাহাউল্লাহ থেকে তাঁর পুত্র আবদুল-বাহার কাছে এবং আবদুল-বাহা থেকে তাঁর দৌহিত্র শোঘী এফেন্দীর কাছে, এবং সর্বজনীন ন্যায় বিচারালয়ের কাছে গিয়েছিলো, যা বাহাউল্লাহ দ্বারা নির্ধারিত ছিল। একজন বাহাই বাব এবং বাহাউল্লাহর এবং এইসব নিযুক্ত উত্তরাধিকারদের দিব্য কর্তৃত্ব স্বীকার করেন।

বাব
বাব হলেন বাহাই ধর্মের অগ্রদুত। ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি, তিনি ঘোষণা করেন যে, তিনি একটি বার্তার বাহক যা মানবজাতির আধ্যাত্মিক জীবনকে রূপান্তরিত করতে পূর্ব-নির্ধারিত। তাঁর মিশন ছিলো ঈশ্বরের থেকে দ্বিতীয় একজন বার্তাবাহকের আগমনের পথ তৈ্রী করে দেওয়া, যিনি তাঁর থেকেও মহান, যিনি শান্তি এবং ন্যায় বিচারের যুগের সূচনা করবেন।

বাহাউল্লাহ
বাহাউল্লাহ-“ঈশ্বরের মহিমা”- প্রতিশ্রূত ব্যক্তি বাব কর্তৃক এবং সকল দিব্য বার্তাবাহকসমূহ দ্বারা পূর্ব-ঘোষিত। বাহাউল্লাহ একটি নতূন উদঘাটন ঈশ্বর প্রাপ্ত হয়ে মানবজাতিকে প্রদান করেছিলেন। হাজার হাজার লেখনীসমূহ, চিঠিপত্র এবং পুস্তক তাঁর কলম থেকে প্রবাহিত হয়েছিলো। তাঁর রচনাবলীতে, তিনি একটি বিশ্ব সভ্যতার উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন যা মানব জীবনের আধ্যাত্মিক এবং জাগতিক বিস্তারকে সামনে এনেছিলো। এরজন্য, তিনি ৪০ বছরের বন্দী জীবন কাটিয়েছিলেন, যা ছিলো অত্যাচার এবং নির্বাসন।

আবদুল-বাহা
তাঁর ইচ্ছাপত্রে, বাহাউল্লাহ তাঁর জ্যেষ্ঠ-পুত্র, আবদুল-বাহা তাঁর শিক্ষাবলীর অনুমোদিত ব্যাখ্যাদাতা এবং ধর্মের প্রধান নিযুক্ত করেছেন। পূর্ব এবং পশ্চিম জুড়ে আবদুল-বাহা একজন শান্তির দূত হিসেবে, একজন অনুকরনীয় মানুষ, একটি নতুন ধর্মের অগ্রণী প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত হন।

শোঘী এফেন্দী
আবদুল-বাহা কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবক, তাঁর সব থেকে বড় দৌহিত্র। শোঘী এফেন্দী ছত্রিশ বছর শৃংখলাবদ্ধরূপে বাহাই সমাজের একতা, অগ্রগতি এবং উপলব্ধি লালন করেছেন, যারফলে এই সমাজ সমগ্র মানবজাতির বিচিত্রতার প্রতিফলনে বেড়ে উঠেছে।

সর্বজনীন ন্যায় বিচারালয়
বিশ্বব্যাপী বাহাই ধর্মের অগ্রগতি আজ সর্বজনীন ন্যায় বিচারালয় দ্বারা পথ-নির্দেশিত। তাঁর আইনগুলির পুস্তকে বাহাউল্লাহ সর্বজনীন ন্যায় বিচারালয়কে মানবজাতির কল্যানে, তাদের শিক্ষার উন্নয়ন, শান্তি এবং বিশ্ব সমৃদ্ধি এবং মানুষের সম্মান রক্ষা এবং ধর্মের অবস্থায় সদর্থক প্রভাব প্রয়োগ করতে বলেছেন।